img

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের মধ্যে আমরা শেখ হাসিনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। শেখ হাসিনা যেমন করে বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে গুম করে খুন করে পরের দিন তার স্ত্রী কন্যাকে গণভবনে নিয়ে তার পরশমাখা স্নেহ দিয়ে বোঝাতেন, ঠিক তেমনিভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রধান উপদেষ্টা ওসমান হাদির পরিবারের লোকজনকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। আমরা তো এই সান্ত্বনা চাই না, এদেশের মানুষ সেই সান্ত্বনা চায় না।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নাজমুল বলেন, আমার ভাইয়েরা আইসিইউতে থাকবে, নিশ্বাস নিতে পারবে না। আর আপনি যমুনায় বসে আরাম আয়েশ করবেন সেটি আমরা মেনে নিতে পারবো না।

তিনি আরও বলেন, এরকম পরিবেশ যদি থাকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচাইতে বেশি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের লাশের নির্বাচন উপহার দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যেখানে সাধারণ মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা নাই,সেখানে বৃহৎ কর্মযজ্ঞের জাতীয় নির্বাচন করার সুযোগ নাই। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ যদি আপনি না বোঝেন তাহলে পুঞ্জিভূত রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হবে যমুনাতেও। আপনি যদি স্বরাষ্ট্র উপদেশটাকে অব্যাহতি না দেন আমরা ছাত্র-জনতা যমুনা ঘেরাও করব।

এ সময় নাজমুল হাসান তাদের ৫ দাবি তুলে ধরেন:

দাবিগুলো হলো-

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদাবক্সের পদত্যাগের দাবি। 

আওয়ামীলীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। কোনোভাবেই তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া যাবে না। 

সীমান্ত বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা ও আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওসমান হাদির শুটার ফয়সাল ও মাসুদকে ফেরত না দিলে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধের হুশিয়ারি। 

আওয়ামী লীগের কেউ যেনো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও নির্বাচন করতে পারে, তার জন্য ইসিকে কঠোর হতে হবে। 

৩১ আগস্ট ভিপি নুরের ওপর হামলায় জড়িত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবি।

এই বিভাগের আরও খবর